সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রতারক এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ছাতক থানায় অভিযোগ করে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রইছ উদ্দিন শিক্ষক নামধারি একজন দূর্দান্ত প্রতারক ও জালিয়াত বটে। গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগে রইছ উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে নানা জাল-জালিয়াতি ও অপকর্মের মাধ্যমে তার সহযোগিদের নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই মধ্যে গত ৫ জুন বিদ্যালয়ের জাউয়া বাজার জনতা ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বিভিন্ন সময় সরকারী বরাদ্দকৃত প্রায় লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে আতœসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশী তদন্তে ও রইছ উদ্দিনের এ টাকা আতœসাতের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এ বিদ্যালয়ে তার চাকুরীর বিষয়টিও আজ সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়টিও তদন্তের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, শিক্ষক নামধারি প্রতারক রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার অসংখ্য অভিযোগসহ রয়েছে একাধিক প্রতারনা মামলা। এরমধ্যে নেত্রকোনা জেলার মোহনগজ্ঞ উপজেলার নাগদরা গ্রামের শান্তা আক্তার গত ১৫ মার্চ ২০১৫ইং রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা (নং-৩৯১৬) দায়ের করেন। রইছ উদ্দিন প্রতারণার মাধ্যমে শান্তা আক্তারের ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিচারাধিন এ মামলায়। এখন প্রতারক রইছ উদ্দিন এ মামলায় জামিনে রয়েছে। সব মিলিয়ে এ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন আজ হুমকির মূখে। সে তার দূর্নীতির সহযোগীদের নিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের নানা ভাবে হূমকী দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তপাতের আশংকা বিদ্যমান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছ। তাই আর দেরী না করে জালিয়াতি ও নানা প্রতারণার হোতা রইছ উদ্দিনকে স্কুল থেকে অপসারনসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন আজ জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এ দাবি জানান ভূক্তভোগিরা।